মুসলিম সম্প্রদায়ের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎসব ঈদুল ফিতর উপলক্ষে বৃহস্পতিবার (১৩ মে) থেকে শনিবার (১৫ মে) পর্যন্ত টানা তিন দিন বেনাপোল স্থলবন্দর প্রতিবেশী দেশ ভারতের সঙ্গে বন্ধ থাকছে বাণিজ্যিক কার্যক্রম। তবে এ সময় যাদের দূতাবাসের ছাড়পত্র থাকবে সেসব পাসপোর্টধারী যাত্রীরা দুই দেশের মধ্যে যাতায়াত করতে পারবেন।
এদিকে আমদানি, রপ্তানি বন্ধ থাকায় ব্যস্ততম এ বন্দরটি এখন জন শূন্য। কোথাও নেই কোন কর্মব্যস্ততা বা কোলাহল। তবে অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে নজরদারি রয়েছে বন্দরের নিরাপত্তাকর্মীদের।
বেনাপোল বন্দরের উপপরিচালক মামুন কবীর তরফদার জানান, বৃহস্পতিবার ঈদের ছুটি শুরু। ১৪ মে সাপ্তাহিক ছুটি ও পরের দিন ১৫ মে আবার ঈদের ছুটিতে বন্ধ থাকবে দুই দেশের মধ্যে বাণিজ্যিক কার্যক্রম। ১৬ মে থেকে আবার বাণিজ্যিক কার্যক্রম শুরু হবে।
বেনাপোল ইমিগ্রেশন ওসি আহসান হাবিব জানান, বেনাপোল বন্দর দিয়ে আমদানি, রপ্তানি বন্ধ থাকলেও যারা ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞার আগে ভারতে অবস্থান করছিলেন তারা দূতাবাসের ছাড়পত্র নিয়ে ফিরছেন।
জানা যায়, প্রতিদিন বেনাপোল বন্দর দিয়ে ভারত থেকে প্রায় সাড়ে ৪০০ ট্রাকে বিভিন্ন ধরনের পণ্য বেনাপোল বন্দরে প্রবেশ করে। প্রতি বছর ভারত থেকে আমদানির পরিমাণ প্রায় ৪০ হাজার মেট্রিক টন বিভিন্ন ধরনের পণ্য। আমদানি পণ্য থেকে সরকারের প্রতি বছর প্রায় ৫ হাজার কোটি টাকা রাজস্ব আসে। এ ছাড়া প্রতিদিন বাংলাদেশি প্রায় দেড়শ’ ট্রাক পণ্য রপ্তানি হয় ভারতে, যা বছরে পরিমাণ প্রায় ৮ হাজার মেট্রিক টন পণ্য।
বর্তমানে সরকারি আর সাপ্তাহিক ছুটির দিন ছাড়া অন্যান্য দিনে ২৪ ঘণ্টা চলে বন্দরের বাণিজ্যিক কার্যক্রম। আমদানি পণ্যের মধ্যে গার্মেন্টস, কেমিক্যাল, তুলা, মাছ, মেশিনারিজ ও শিশু খাদ্য উল্লেখ্যযোগ্য। রপ্তানি পণ্যের মধ্যে বেশির ভাগ পাট ও পাটজাত দ্রব্য। রাজস্ব আয় ও বাণিজ্যিক দিক থেকে চট্টগ্রাম বন্দরের পরেই বেনাপোল বন্দরের অবস্থান।
Posted ৬:১৩ পূর্বাহ্ণ | বৃহস্পতিবার, ১৩ মে ২০২১
dailymatrivumi.com | Mohammad Salahuddin