চট্টগ্রামের কর্ণফুলী নদীর তীরে জেগে ওঠা চরে গড়ে উঠতে যাচ্ছে দেশের প্রথম পরিকল্পিত সরকারি অফিস ব্যবস্থাপনা। যেখানে একই সীমানায় থাকবে বিভাগীয় কমিশনার, জেলা প্রশাসকের কার্যালয় এবং সার্কিট হাউজসহ অন্তত ৪৪টি সরকারি দপ্তরের অফিস।
৭৩ একর জায়গার উপর ‘মিনি সেক্রেটারিয়েট ফর চট্টগ্রাম’ নামের এই প্রকল্প বাস্তবায়ন হলে সেবাপ্রার্থী মানুষের দুর্ভোগ কমার পাশাপাশি সংরক্ষণ করা যাবে ঐতিহ্যবাহী পরীর পাহাড়।
কয়েক যুগ ধরে কর্ণফুলী নদীর তীরে জেগে ওঠা এই চরেই শেষ পর্যন্ত হতে যাচ্ছে ‘মিনি সেক্রেটারিয়েট ফর চট্টগ্রাম’।
প্রধানমন্ত্রীর অনুশাসন পাওয়ার পরপরই শুরু হয়ে গেছে প্রকল্পটি এগিয়ে নেওয়ার কাজ। ইতোমধ্যে প্রাথমিক ডিজাইন করে চূড়ান্ত অনুমোদনের অপেক্ষায় রয়েছে চট্টগ্রামের জেলা প্রশাসন।
নগরীর শাহ আমানত সেতু থেকে কালুরঘাট সেতু পর্যন্ত তৈরি হওয়া নতুন রাস্তাকে কেন্দ্র করেই গড়ে উঠছে জনপদ। আর এটিকেই সরকারি অফিসগুলোকে একই সীমানায় নেওয়ার প্রথম পদক্ষেপ হিসাবে বিবেচনা করা হচ্ছে বলে জানিয়েছে জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ মোমিনুর রহমান।
বর্তমানে চট্টগ্রামে সরকারি ৩৩টি প্রতিষ্ঠানের নিজস্ব কোনো কার্যালয় নেই। নগরীর বিভিন্ন স্থানে ছড়িয়ে-ছিটিয়ে থাকা এসব কার্যালয়ে সেবা নিতে গিয়ে সাধারণ মানুষকে ভোগান্তিতে পড়তে হয়। চট্টগ্রামের বিভাগীয় কমিশনার এবং জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের পাশাপাশি নিজস্ব কার্যালয় না থাকা সরকারি দপ্তরগুলোর স্থান হবে এখানে।
সার্কিট হাউজও স্থানান্তর হবে নতুন এই ভূমিতে। সেইসঙ্গে এই পরিকল্পনায় হাসপাতাল-ট্রেনিং একাডেমি এবং আবাসন ব্যবস্থাও থাকছে বলে জানিয়েছেন চান্দগাঁও সার্কেলের সহকারী কমিশনার মাম্মুন আহমেদ অনিক।
এদিকে চট্টগ্রামের ঐতিহ্য হিসাবে চিহ্নিত পরীর পাহাড়ে বিভাগীয় কমিশনার এবং জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের পাশাপাশি অবস্থান রয়েছে আদালত ভবনের। সময়ের সাথে এখানে কর্মব্যস্ততা বাড়ায় ক্রমশ ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে উঠছে পাহাড়ের উপর গড়ে ওঠা এসব স্থাপনা।
এ অবস্থায় সরকারি সবগুলো দপ্তর সরিয়ে নিয়ে এই পরীর পাহাড়কে সংরক্ষণের কথা বলছেন নগর পরিকল্পনাবিদ স্থপতি অশিক ইমরান।
সরকারি খাস জমি হওয়ায় এখানে জমি অধিগ্রহণের কোনো জটিলতা নেই। তাই আগামী বছর থেকে এর নির্মাণ কাজ শুরু হলে ২০২৪ সালের মধ্যে এর কাজ শেষ হবে।
Posted ২:৪০ পূর্বাহ্ণ | মঙ্গলবার, ২৬ অক্টোবর ২০২১
dailymatrivumi.com | Mohammad Salahuddin