সেন্টার ফর রিসার্চ অ্যান্ড ইনফরমেশন (সিআরআই)-এর সহায়তায় আয়োজিত এই বিশেষ প্রদর্শনী প্রসঙ্গে ‘উই নিড বুকস’ তাদের অফিসিয়াল ফেসবুক পেইজে লিখেছে- ‘হাসিনা: এ ডটারস টেল’ মোটেও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার রাজনৈতিক জীবন নিয়ে তৈরি কোনো ডকুমেন্টারি নয়। বরং এটি বঙ্গবন্ধু কন্যাদের গল্প বলেছে। এই ডকুড্রামা তার শিরোনামের মতোই হৃদয় ছুঁয়ে যাওয়া এক আবহ তৈরি করে। যা বর্ণনা করে দেশটির (বাংলাদেশের) অন্ধকার একদিন কিভাবে দুই কন্যার জীবনকে পরিবর্তন করে দিয়েছে।
‘হাসিনা: এ ডটারস টেল’ ডকুড্রামাটি প্রযোজনা করেছেন- রাদওয়ান মুজিব সিদ্দিক ও নসরুল হামিদ বিপু। পরিচালনা করেছেন অ্যাপল বক্স ফিল্মসের পিপলু খান।
প্রধানমন্ত্রীর ব্যক্তিগত জীবন নিয়ে কৌতূহল আছে সবার। তিনি বঙ্গবন্ধুর কন্যা। কিন্তু ১৯৭৫ সালের পর তিনি কিভাবে বেঁচে ছিলেন সেই ইতিহাস অনেকের অজানা। আর সে কারণেই সারাদেশে এই ডকুড্রামা সারা ফেলেছে। দেশে ও বিদেশে এখনো ডকুড্রামাটির চাহিদা রয়েছে বলে জানান- এর পরিবেশক গাউসুল আজম শাওন।
ডকুড্রামাটির পরিচালক পিপলু খান বলেন, এই ডকুড্রামার মধ্য দিয়ে একটি সত্যনিষ্ঠ জীবনপ্রবাহকে পর্দায় হাজির করতে চেয়েছি। এতে একজন শেখ হাসিনার রান্না ঘর থেকে শুরু করে সরকার প্রধানের দায়িত্ব পালন, বেঁচে থাকার সংগ্রামসহ ব্যক্তিগত, পারিবারিক, রাজনৈতিক জীবনের নানা দিক ফুটে উঠেছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে তার ছোট বোন শেখ রেহানার জীবনের কথাও উঠে এসেছে।
৭০ মিনিট দৈঘ্যের ‘হাসিনা: এ ডটারস টেল’ ডকুড্রামাটি নির্মাণ করতে পিপলু খানের সময় লেগেছে দীর্ঘ পাঁচ বছর। ২০১৮ সালের ১৬ নভেম্বর ডকুড্রামাটি মুক্তির পরই জাতীয় এবং আন্তর্জাতিক দর্শক ও সমালোচকদের প্রশংসা লাভ করে। বিশ্বের বিভিন্ন চলচ্চিত্র উৎসবে এটি প্রদর্শিত হয়েছে।
Posted ২:৩৩ পূর্বাহ্ণ | রবিবার, ০৩ জুলাই ২০২২
dailymatrivumi.com | Mohammad Salahuddin