‘ঘরে বসেই দেহি কারখানায় আগুন। মাইয়াডারে উদ্ধার করতে যাই, সেখানে গেটে তালা মারা। তালা ভাঙতে গেলে দোতলার লাইনম্যান আমার বুকে লাথি মারে। তালাটা ভাঙতে পারলে কত মায়ের কলিজার টুকরারে বাঁচাইতে পারতাম। এখন আমার মেয়ের লাশটাও পাইলাম না।’
মেয়ে সেলিনাকে হারিয়ে বুক চাপড়াতে চাপড়াতে বললেন আমেনা খাতুন। নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জের গোলাকান্দাইলের কর্ণগোপ এলাকায় সজীব গ্রুপের অঙ্গ প্রতিষ্ঠান হাসেম ফুডস লিমিটেডের মাত্র ৫০ গজ দূরেই টিনশেড ঘরে থাকেন আমেনা ও তার পরিবার। ঘরের পেছনের জরাজীর্ণ কাঠের দুয়ার খুললেই কারখানার ধোঁয়াও তাদের নাকে আসে। মেয়ে ও মা ওই কারখানারই শ্রমিক ছিলেন। বৃহস্পতিবার রাতের শিফটে কাজ থাকায় বেঁচে গেছেন আমেনা।
কারখানা কর্তৃপক্ষের অবহেলার কথা তুলে ধরে জড়িতদের দৃষ্টান্তমূলক বিচার চাইলেন সন্তানহারা এই মা। গতকাল আমেনার ছোট্ট ঘরে চলছিল মাতম। মেয়ের ছবি প্রতিবেশীদের দেখিয়ে মা বলছিলেন, ‘ছুটি অইলে ঈদের আগে সবাই গ্রামে যাওনের কথা ছিল। আমার মায়ের এই ছুটি অইল…।’
হাসেম ফুডস কারখানায় আগুনে অন্তত ৫২ জনের মর্মান্তিক মৃত্যু হয়েছে। আহত হন অর্ধশতাধিক। গতকাল শুক্রবার বিকেল পর্যন্ত ভবনটির প্রথম থেকে ষষ্ঠতলা পর্যন্ত তল্লাশি করে ৪৯ জনের মরদেহ পান ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা। উদ্ধার অধিকাংশের লাশ পুড়ে অঙ্গার হয়ে গেছে। নারী-পুরুষের পার্থক্যও বোঝা যাচ্ছে না। এর আগে বৃহস্পতিবার বিকেল সাড়ে ৫টার দিকে আগুন লাগার পরপরই প্রাণ বাঁচাতে লাফিয়ে পড়ে তিন শ্রমিক নিহত হন। তখনও বোঝা যায়নি লাশের সারি এত দীর্ঘ হবে।
সিআইডি বলছে, দাঁত ও হাড়ের মাধ্যমে ডিএনএ পরীক্ষা করে লাশ শনাক্ত করতে অন্তত ২১ দিন লাগবে। গতকাল রাতে ৪৮টি লাশের ময়নাতদন্ত ঢাকা মেডিকেল কলেজ মর্গে সম্পন্ন হয়। এ ছাড়া ডিএনএ পরীক্ষার জন্য মৃতদেহ থেকে নমুনা সংগ্রহ করা হয়। গতকাল পর্যন্ত ২৬ স্বজনের ডিএনএ স্যাম্পলও নেয় সিআইডি।
ফায়ার সার্ভিসের মহাপরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল সাজ্জাদ হোসাইন সমকালকে বলেন, আগুন লাগার প্রকৃত কারণ এখনও জানা যায়নি। তদন্ত কমিটি এটা বের করবে।
ফায়ার সার্ভিসের উপপরিচালক দেবাশীষ বর্ধন ঘটনাস্থলে সমকালকে বলেন, ছয়তলা ভবনের ছাদে ওঠার জন্য দুটি সিঁড়ি রয়েছে, যার একটির ছাদের দরজা বন্ধ ছিল। অন্য সিঁড়ি দিয়ে ভবনের ছাদে আশ্রয় নিয়েছিলেন কিছু কর্মী। সেখান থেকে ২৫ জনকে উদ্ধার করা হয়েছে। বাকিরাও যদি ছাদে উঠতে পারতেন, তাদেরও বাঁচানো যেত। চতুর্থ তলা থেকে ছাদে যাওয়ার সিঁড়ি তালাবদ্ধ ছিল। আর নিচের দিকে সিঁড়ির ল্যান্ডিংয়ে ছিল আগুন। তারা নিচে নামতে পারেননি, আবার সিঁড়ির দরজায় তালা থাকায় ছাদেও উঠতে পারেননি।
কারখানায় আগুনে প্রাণ ও সম্পদের ক্ষয়ক্ষতিতে গভীর শোক প্রকাশ করেছেন রাষ্ট্রপতি মোঃ আবদুল হামিদ, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এবং স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী। শুক্রবার পৃথক বার্তায় তারা গভীর শোক ও দুঃখ প্রকাশ করেন।
দুর্ঘটনাস্থল থেকে উদ্ধার করা লাশগুলো ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ফরেনসিক বিভাগে পাঠানো হয়েছে। ডিএনএ পরীক্ষার মাধ্যমে পরিচয় শনাক্তের পর মরদেহ স্বজনের কাছে হস্তান্তর করা হবে। প্রাথমিকভাবে জানা গেছে, নিহতদের মধ্যে অনেক শিশু শ্রমিক আছে। আগুনের ঘটনায় সাত সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করেছে নারায়ণগঞ্জ জেলা প্রশাসন। পৃথক কমিটি করেছে ফায়ার সার্ভিস এবং কলকারখানা ও প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন অধিদপ্তর। গতকাল র্যাব মহাপরিচালক আব্দুল্লাহ আল মামুন, ঢাকা রেঞ্জের ডিআইজি হাবিবুর রহমানসহ প্রশাসনের লোকজন দুর্ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন।
ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স অধিদপ্তরের নিয়ন্ত্রণ কক্ষ জানায়, বৃহস্পতিবার বিকেল সাড়ে ৫টার পর ওই কারখানায় আগুন লাগে। বৃহস্পতিবার মধ্যরাতে আগুন কিছুটা নিয়ন্ত্রণে এলেও গতকাল ভোর ৬টার দিকে কারখানার চারতলায় আবারও আগুন বাড়তে থাকে। নেভাতে কাজ করে ফায়ার সার্ভিসের ১৮টি ইউনিট। তাদের চেষ্টায় ২১ ঘণ্টা পর গতকাল দুপুরে আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে।
সজীব গ্রুপের চেয়ারম্যান মোহাম্মদ আবুল হাসেম সাংবাদিকদের বলেন, ‘জীবনে বড় ভুল করেছি ইন্ডাস্ট্রি করে। ইন্ডাস্ট্রি করলে শ্রমিক থাকবে। শ্রমিক থাকলে কাজ হবে। কাজ হলে আগুন লাগতেই পারে। এর দায় কি আমার? আমি তো আর গিয়ে আগুন লাগিয়ে দিইনি। অথবা আমার কোনো ম্যানেজার আগুন লাগায়নি। নিচের তলায় কার্টন রাখা ছিল এবং বিভিন্ন ধরনের দাহ্য পদার্থ ছিল। নিচের তলার কার্টন থেকে আগুন ছড়াতে পারে। যারা মারা গেছেন, তারা তো আমারই ছেলেমেয়ে। আমি খুব ভেঙে পড়েছি। সর্বোচ্চ চেষ্টা করব আমার ছেলেমেয়েদের পাশে থাকতে। এটি একটি দুর্ঘটনা।’ ভবনটিতে পর্যাপ্ত অগ্নিনির্বাপণ যন্ত্র ছিল বলেও দাবি করেন তিনি।
প্রত্যক্ষদর্শীদের বর্ণনা: হাসেম ফুডস লিমিটেডের চকলেট লাইনের অপারেটর হিসেবে কাজ করেন পরিমল রায়। তিনি জানান, বৃহস্পতিবার পাশের ভবনের চারতলায় ডিউটিতে ছিলেন তিনি। আগুন লাগার পরপরই ঘটনাস্থলে ছুটে গিয়ে দেখেন নিচতলায় ধোঁয়া। এরপর ধীরে ধীরে আগুন ওপরের দিকে উঠতে থাকে। অনেকে লাফিয়ে পড়ছিলেন। কেউ আবার ভেতরে আটকা পড়ে চিৎকার করতে থাকেন। ভেতর থেকে প্রতিষ্ঠানের কেউ তখনও বলছিলেন বড় কিছু হবে না। ভেতরে সবাইকে একসঙ্গে থাকার জন্য বলতে থাকেন।
পরিমল জানান, কারখানাটিতে অনেকে কাজ করেন, যাদের বয়স ১৮ বছরের নিচে। বয়স যাদের কম, তাদের হালকা কাজ দেওয়া হয়।
কারখানাটির প্রডাকশন অফিসার জয় ইসলাম জানান, তিন শিফটে সেখানে কাজ হয়। ‘এ’ শিফট সকাল ৮টা থেকে বিকেল ৫টা পর্যন্ত। ‘বি’ শিফট দুপুর ২টা থেকে রাত ১০টা পর্যন্ত। ‘সি’ শিফট রাত ১০টা থেকে সকাল ৬টা পর্যন্ত চলে। ‘বি’ শিফটের কাজ চলার সময় আগুন লেগেছিল।
তিনি বলেন, ছয়তলা ভবনটির নিচতলায় কার্টন সেকশন। যেখান থেকে আগুনের সূত্রপাত বলে প্রাথমিকভাবে মনে করা হচ্ছে। দোতলায় টোস্ট ও সেমাই তৈরি করা হয়। তিনতলায় লাচ্ছি সেমাই ও লিচুর ফ্লেভারের ড্রিঙ্কস। চারতলায় ললিপপ ও নসিলা তৈরি হয়। পঞ্চমতলায় সেমাই ও স্টোর রুম। ছয়তলায় কার্টনের গুদাম। সব শিফট মিলে কারখানাটিতে তিন হাজারের অধিক শ্রমিক কাজ করতেন।
শ্রমিক তাজুল ইসলাম জানান, বিকেল সাড়ে ৫টার দিকে স্টোররুম থেকে কিছু মালপত্র আনতে গিয়ে তিনি নিচ থেকে শ্রমিকদের চিৎকার শুনতে পান। সিঁড়ি দিয়ে নিচের দিকে চেয়ে ধোঁয়া দেখতে পান। ধোঁয়া আর আগুনের তাপ এতটা ছিল যে, নিচে নামার সুযোগ পাননি। পরে বাধ্য হয়ে তিনি সিঁড়ি বেয়ে পাঁচতলার ছাদের ওপর পানির ট্যাঙ্কির কাছে চলে যান। সেখানে তার মতো আরও ১৩-১৪ জন শ্রমিক আশ্রয় নেন। প্রায় দেড় ঘণ্টা পর ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা গিয়ে দড়ি দিলে তারা নিচে নেমে আসেন।
ছাদ থেকে নেমে আসা আরেক শ্রমিক নাজির হোসেন বলেন, আগুন লাগার পর প্রচ ধোঁয়া এবং তাপের কারণে নিচের দিকে নামতে পারছিলাম না। পরে সিঁড়ি বেয়ে উপরে উঠে যাই। জীবনের আশা ছেড়েই দিয়েছিলাম। পরে দড়ি বেয়ে অন্য শ্রমিকদের মতো নিচে নেমে আসি।
অগ্নিনির্বাপণ ব্যবস্থা ছিল না: কারখানার ভবনটিতে আগুন নেভানোর সরঞ্জাম যেমন ছিল না, তেমনি জরুরি বের হওয়ার প্রয়োজনীয় সংখ্যক পথও। ফায়ার সার্ভিসের পরিচালক অপারেশন্স লেফটেন্যান্ট কর্নেল জিল্লুর রহমান সমকালকে বলেন, অধিকাংশ মরদেহ চতুর্থ তলার জানালার পাশে পাওয়া যায়। এতটাই অঙ্গার হয়েছে, ডিএনএ পরীক্ষা ছাড়া পরিচয় শনাক্ত করা অসম্ভব। হয়তো প্রাণে বাঁচতে সবাই জানালার পাশে অবস্থান করছিলেন।
জিল্লুর রহমান আরও বলেন, ভবনটির আয়তন প্রায় ৩৫ হাজার বর্গফুট। ওই ভবনের জন্য অন্তত চার থেকে পাঁচটি সিঁড়ি থাকা দরকার ছিল। অথচ বড় এই ভবনে আমরা পেলাম মাত্র দুটি সিঁড়ি। আগুন লাগার পরপরই একটি সিঁড়ি ধোঁয়ায় অন্ধকার হয়ে যায়। শুরুতেই সেটি বন্ধ হয়ে যাওয়ায় কেউ যেতে পারেননি। দ্বিতীয় সিঁড়ির কাছেও তাপ ও ধোঁয়ার কারণে ভেতরে আটকে থাকারা যেতে পারেননি।
ভবনটিতে ফায়ার সেফটি ইকুইপমেন্ট কী কী দেখেছেন এবং তা পর্যাপ্ত ছিল কিনা- এমন প্রশ্নে তিনি বলেন, ‘এখন পর্যন্ত তেমন কিছু দেখতে পাইনি। সে রকম কোনো বিষয় চোখে পড়েনি। যখন ফাইনালি তদন্ত করব, তখন চেক করব বাংলাদেশ ন্যাশনাল বিল্ডিং কোড-বিএনবিসি অনুযায়ী ভবনটিতে অগ্নিনিরাপত্তা সরঞ্জাম ছিল কিনা। সঠিকভাবে বের হয়ে আসার জন্য পথ পেলে এত হতাহত হতো না। এমনকি বিভিন্ন ফ্লোর নেট দিয়ে আটকানো ছিল। তাই শ্রমিকরা বাঁচার জন্য নেটের বাইরেও যেতে পারেননি।
জিল্লুর রহমান বলেন, ‘ভবনের ওপর থেকে নিচ পর্যন্ত কাঁচামাল জমা ছিল। কোনো অংশে ফাঁকা বা খালি স্থান রাখা হয়নি। এ কারণে পানি সব কর্নারে পৌঁছাতে পারি না এবং এখনও ছোট ছোট আগুন ও ধোঁয়া দেখা যাচ্ছে। মূল আগুন বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে ১২টার মধ্যে নেভানো হলেও প্রচুর সরঞ্জামের কারণে ছোট ছোট আগুন নেভানো যায়নি।
ভবনটিতে অগ্নিনির্বাপণের কাজ করেন ফায়ার ফাইটার আশরাফুল আলম। তিনি বলেন, দোতলা থেকে ছয়তলা পর্যন্ত কাজ করেছি। পুড়ে প্রায় ছাই হয়ে গেছে। কাগজ, প্লাস্টিকের প্যাকেট, কেমিক্যাল সবই পুড়ে গেছে।
পাট ও বস্ত্রমন্ত্রী গোলাম দস্তগীর গাজী বীরপ্রতীক বলেন, কারখানার অব্যবস্থাপনার কারণে যদি এ ঘটনা ঘটে থাকে, তাহলে সে ব্যাপারে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
জেলা প্রশাসক মোস্তাইন বিল্লাহ বলেন, অগ্নিকাণ্ডে যারা নিহত হয়েছেন, তাদের প্রত্যেকের পরিবারকে লাশ দাফনের জন্য নগদ ২৫ হাজার টাকা ও আহতদের পরিবারকে নগদ ১০ হাজার টাকার করে দেওয়া হবে।
কারখানার ব্যবস্থাপক (প্রশাসন) কাজী রফিকুল ইসলাম সাংবাদিকদের বলেন, ওই ভবনের কারখানায় ২০০ শ্রমিক কাজ করতেন। ওই ভবন সেন্ট্রাল গোডাউন হিসেবে তারা ব্যবহার করতেন। ওই ভবনে বিভিন্ন জুসের ফ্লেভার, রোল, ফয়েল প্যাকেটসহ বিভিন্ন মালপত্র ছিল।
তার ভাষ্য, আগুন লাগার পর কত শ্রমিক আটকা পড়েছেন, তা তারা জানেন না। বৈদ্যুতিক শর্টসার্কিট থেকে আগুনের সূত্রপাত।
বিক্ষোভ, ভাঙচুর ও অস্ত্র লুট: আগুন লাগার ঘটনায় নিখোঁজদের স্বজন ও কারখানার শ্রমিকদের সঙ্গে পুলিশের ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া হয়েছে। এ সময় কারখানাসহ ঢাকা-সিলেট মহাসড়কের চলাচলরত গাড়িসহ অর্ধশতাধিক গাড়ি, মোটরসাইকেল ভাঙচুর করেন তারা। বিক্ষুব্ধ শ্রমিক ও তাদের স্বজনরা ঢাকা-সিলেট মহাসড়কে যান চলাচল বন্ধ করে দেন। সংবাদ সংগ্রহে কারখানায় যাওয়া-আসার সময় সাংবাদিকরা তাদের হামলার শিকার হন। আনসার ক্যাম্প থেকে তিনটি শটগান ছিনিয়ে নেন বিক্ষুব্ধ শ্রমিকরা। তাদের হামলায় কাউসার, বিশ্বজিত, ফারুক, মোশরাকুলসহ প্রায় পাঁচ আনসার সদস্য আহত হন। পরে পাশের খাল থেকে শটগান উদ্ধার করা হয়।
নিহত ও নিখোঁজদের তালিকা: বৃহস্পতিবার রাতে মৃত দুই নারী হলেন সিলেটের যতি সরকারের স্ত্রী স্বপ্না রানী (৩৪) ও রূপগঞ্জের গোলাকান্দাইল নতুন বাজার এলাকার হারুন মিয়ার স্ত্রী মিনা আক্তার (৩৩)। এ ছাড়া রাতে ঢামেক হাসপাতালে আনার পর মারা যান মোরসালিন (২৮)। তার বাড়ি দিনাজপুরের চিরিরবন্দর উপজেলার উত্তর সুবেদপুর গ্রামে। বাবার নাম আনিসুর রহমান। এ ছাড়া ৫১ শ্রমিককে তার পরিবারের সদস্যরা খুঁজছেন। ধারণা করা হচ্ছে, যাদের লাশ উদ্ধার করা হয়েছে, তাদের মধ্যে নিখোঁজ শ্রমিকরা রয়েছেন। নিখোঁজরা হলেন- কিশোরগঞ্জের চান মিয়ার ছেলে নাজমুল, কিশোরগঞ্জের তাছলিমা, ভোলার চরফ্যাসন উপজেলার মো. রাকিব, নোয়াখালীর হাতিয়া উপজেলার মো. বাহারের ছেলে মো. আকাশ, কিশোরগঞ্জের বাচ্চু মিয়ার মেয়ে তাছলিমা, কিশোরগঞ্জের আজিজুল হকের মেয়ে মোছা. রহিমা, গাইবান্ধার প্রফেসর কলোনির হাসানুজ্জামানের মেয়ে নুসরাত জাহান টুকটুকি, কিশোরগঞ্জের কটিয়াদী থানার চান্দু মিয়ার মেয়ে রাবেয়া, কিশোরগঞ্জের মালেকের মেয়ে মাহমুদা, ভোলার চরফ্যাসন উপজেলার গোলামের ছেলে মো. মহিউদ্দিন, একই উপজেলার ফখরুল ইসলামের ছেলে শামীম, ভোলার ইসমাইলের মেয়ে হাফেজা, নারায়ণগঞ্জের হাকিম আলীর মেয়ে ফিরোজা বেগম, কিশোরগঞ্জের করিমগঞ্জ উপজেলার তাহের উদ্দিনের ছেলে নাঈম, একই জেলার নিতাই উপজেলার স্বপনের মেয়ে শাহিদা, মৌলভীবাজারের পরবা বরমনের ছেলে কমপা বরমন, ভোলার তাজুদ্দিনের ছেলে রাকিব, কিশোরগঞ্জের কাইয়ুমের মেয়ে খাদিজা, নেত্রকোনার জাকির হোসেনের মেয়ে শান্তা মনি, হবিগঞ্জের নবীগঞ্জ উপজেলার সেলিমের স্ত্রী ঊর্মিতা বেগম, কিশোরগঞ্জের কাইয়ুমের মেয়ে আকিমা, নেত্রকোনার কবির হোসেনের মেয়ে হিমা, রংপুরের মানসের ছেলে স্বপন, কিশোরগঞ্জের মাহাতাব উদ্দিনের স্ত্রী শাহানা, একই জেলার গোলাকান্দাইল খালপাড়ের রাজীবের স্ত্রী আমেনা, কিশোরগঞ্জের আব্দুর রশিদের মেয়ে মিনা খাতুন, পাবনার হাঠখালীর শাহাদত খানের ছেলে মোহাম্মদ আলী, ভোলার চরফ্যাসন উপজেলার ফজলুর ছেলে হাসনাইন, জামালপুরের মো. শওকতের ছেলে জিহাদ রানা, কিশোরগঞ্জের মো. সেলিমের মেয়ে সেলিনা, নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জ উপজেলার ফিরোজা, তার মেয়ে সুমাইয়া, নরসিংদীর শিবপুরের জসিম উদ্দীনের স্ত্রী রিমা, কিশোরগঞ্জের করিমগঞ্জ উপজেলার সুজনের মেয়ে রিনা আক্তার, চাঁদপুরের হাইমচর উপজেলার হাছান উল্লাহর ছেলে পারভেজ, পঞ্চগড়ের তেঁতুলিয়া উপজেলার গোকুলের ছেলে মাহাবুব, গাজীপুরের সেলিম মিয়ার ছেলে রিপন মিয়া (ইয়াসিন), ভোলার চরফ্যাসন উপজেলার মান্নান মাতবরের ছেলে নোমান মিয়া, গোলাকান্দাইল উপজেলার আফজালের স্ত্রী নাজমা বেগম, নোয়াখালীর হাতিয়া উপজেলার আবুল কাশেমের ছেলে রাসেদ, একই উপজেলার এনায়েতের ছেলে বাদশা, ভোলার চরফ্যাসন উপজেলার ইউসুফ, নোয়াখালীর হাতিয়া উপজেলার আবুল বাসারের ছেলে জিহাদ, শাকিল, কিশোরগঞ্জের করিমগঞ্জের খোকনের স্ত্রী জাহানারা, ভোলার চরফ্যাসন উপজেলার কবিরের ছেলে মো. রাকিব, কিশোরগঞ্জের করিমগঞ্জ থানার সুরুজ আলীর মেয়ে ফারজানা, নেত্রকোনার খালিয়াজুড়ী উপজেলার আজমত আলীর মেয়ে তাকিয়া আক্তার, কিশোরগঞ্জের নিজামউদ্দিনের মেয়ে শাহানা, দিনাজপুরের পার্বতীপুর উপজেলার ফয়জুল ইসলামের ছেলে সাজ্জাদ হোসেন সজীব, গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জ থানার লালচু মিয়ার ছেলে লার্বণ আক্তার ও হবিগঞ্জের আবদুল মান্নানের মেয়ে তুলি।
Posted ৫:২৯ পূর্বাহ্ণ | শনিবার, ১০ জুলাই ২০২১
dailymatrivumi.com | Mohammad Salahuddin