করোনাভাইরাস মোকাবিলায় ৫-১১ বছরের শিশুদের (প্রাথমিক শিক্ষার্থী) পর্যবেক্ষণমূলক টিকাদান শুরু হচ্ছে আজ বৃহস্পতিবার। দুপুর সাড়ে ১২টায় বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে (বিআইসিসি) শিশুদের টিকাদান কার্যক্রম উদ্বোধন করবেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক।
সবকিছু ঠিক থাকলে চলতি মাসের শেষ সপ্তাহে শিশুদের গণহারে টিকাদান শুরু করবে সরকার। বুধবার স্বাস্থ্য অধিদফতরের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
আজ থেকে শুরু হওয়া টিকাদান কর্মসূচি মূলত পর্যবেক্ষণমূলক। করোনার টিকা গ্রহণে রাজধানীর আবুল বাশার সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ১৬ শিক্ষার্থীকে প্রস্তুত রাখা হয়েছে।
স্বাস্থ্য অধিদফতর সূত্রে জানা গেছে, শিশুরা যেহেতু বয়সে ছোট তাই এই টিকা অনেক সংখ্যক শিশুকে দেওয়া হচ্ছে না। আজ ১৬ শিক্ষার্থীকে টিকা প্রদানের পর তাদেরকে ১৪ দিনের পর্যবেক্ষণমূলক শেষে ২৫ আগস্ট থেকে সারাদেশের ১২টি সিটি কর্পোরেশনে পূর্ণাঙ্গভাবে শিশুদের টিকা কার্যক্রম পরিচালিত হবে। পরবর্তীতে পর্যায়ক্রমে জেলা-উপজেলা পর্যায়ের শিক্ষার্থীদেরও টিকা প্রয়োগ করা হবে। সামগ্রিক অবস্থা বিবেচনায় ২৫ আগস্ট থেকে ৭ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত প্রথম রাউন্ডের টিকাদান চলবে। এর দুইমাস পর টিকার দ্বিতীয় রাউন্ড শুরু হবে।
সম্প্রতি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশের শিশুদের (৫-১১) করোনাভাইরাস থেকে সুরক্ষায় ফাইজারের আরো ১৫ লাখ ডোজ টিকা অনুদান দিয়েছে। শিশুদের ক্ষেত্রে বিশেষ ব্যবস্থায় তৈরি ফাইজারের টিকা ব্যবহার করা হবে। ফাইজারের টিকার ১৫ লাখ ২ হাজার ৪০০ ডোজ দেশে আসে গত ৩০ জুলাই।
গত এপ্রিলে শিশুদের টিকা দেওয়ার সিদ্ধান্ত জানায় সরকার। শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সহায়তায় সংশ্লিষ্ট শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে শিশুদের তালিকা তৈরির কাজ চলছে। দেশে ৫-১১ বছর বয়সী প্রায় ২ কোটি ২০ লাখ শিশু রয়েছে।
Posted ৫:২৫ পূর্বাহ্ণ | বৃহস্পতিবার, ১১ আগস্ট ২০২২
dailymatrivumi.com | Mohammad Salahuddin