এবার ফৌজদারি বিচারিক ক্ষমতা হারালেন রেইনট্রি হোটেলে ধর্ষণ মামলায় এখতিয়ারবহির্ভূত পর্যবেক্ষণ দিয়ে সমালোচিত ঢাকার সপ্তম নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের সাবেক বিচারক বেগম মোছা. কামরুন্নাহার। তার ফৌজদারি বিচারিক ক্ষমতা জব্দ করেছেন সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগ।
এর আগে আপিল বিভাগে হাজির হয়ে নিঃশর্ত ক্ষমা চেয়েছেন বিচারক কামরুন্নাহার। তবে প্রায় দুই ঘণ্টা রুদ্ধদ্বার শুনানিতে কোনো সাংবাদিককে আপিল বিভাগে থাকতে দেওয়া হয়নি। এমনকি আপিল বিভাগের কর্মচারীদেরও বিচারকক্ষ থেকে বের করে দেওয়া হয়।
সুপ্রিম কোর্টের মুখপাত্র ও স্পেশাল অফিসার মোহাম্মদ সাইফুর রহমান এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানান, আপিল বিভাগ কামারুন্নাহারের ফৌজদারি বিচারিক ক্ষমতা সিজ করেছেন। এর আগে মোছা. কামরুন্নাহার ঢাকার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-৭-এর বিচারক হিসেবে গত ১১ নভেম্বর রাজধানীর বনানীর রেইনট্রি হোটেলে ধর্ষণের অভিযোগে করা মামলার রায় দেন।
রায়ে পাঁচ আসামির সবাইকে খালাস দেওয়া হয়। তবে খালাস নিয়ে যতটা আলোচনা তার চেয়ে বেশি সমালোচনা দেখা দেয় রায়ে বিচারক কামরুন্নাহারের পর্যবেক্ষণ নিয়ে। তিনি পর্যবেক্ষণে বলেন, ধর্ষণের অভিযোগের ক্ষেত্রে ঘটনার ৭২ ঘণ্টা পেরিয়ে গেলে পুলিশ যেন মামলা না নেয়। বিচারকের এমন পর্যবেক্ষণ নিয়ে সেদিন থেকেই সংক্ষুব্ধ হয়ে উঠেন আইনজীবী, মানবাধিকার কর্মীসহ বিভিন্ন সামাজিক, রাজনৈতিক এবং নাগরিক সংগঠনের প্রতিনিধিরা। এ ঘটনায় গত ১৪ নভেম্বর বিচারক মোছা. কামরুন্নাহারকে বিচারিক দায়িত্ব থেকে প্রত্যাহার করে আইন মন্ত্রণালয়ে সংযুক্ত করা হয়। প্রধান বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেনের প্রস্তাব অনুযায়ী সন্ধ্যায় রাষ্ট্রপতির আদেশক্রমে এ বিষয়ে প্রজ্ঞাপনও জারি করে আইন মন্ত্রণালয়।
Posted ৯:৪৬ পূর্বাহ্ণ | মঙ্গলবার, ২৩ নভেম্বর ২০২১
dailymatrivumi.com | Mohammad Salahuddin