ঢাকাই সিনেমার জনপ্রিয় নায়িকা দিলারা হানিফ পূর্ণিমা। গতকাল ক্যারিয়ারের ২৩ বছর পূর্ণ করেছেন। ১৯৯৮ সালে জাকির হোসেন রাজু পরিচালিত ‘এ জীবন তোমার আমার’ ছবির মাধ্যমে তিনি নায়িকা হিসেবে পথচলা শুরু করেন। ক্যারিয়ারে অগণিত মানুষের ভালোবাসার পাশাপাশি অর্জন করেছেন জাতীয় পুরস্কারও। এখন খুব বেছে অল্প কাজ করছেন তিনি।সব মিলিয়ে কেমন আছেন? ঈদ কেমন কাটলো? পূর্ণিমা বলেন, বাসাতেই পরিবার নিয়ে ঈদ উদযাপন করেছি। করোনার কারণে কোথাও বের হইনি। দেশের অন্যতম সফল নায়িকা আপনি। ক্যারিয়ারের ২৩ বছর পূর্ণ করলেন।
আপনার এই অবস্থানে আসার পেছনে কৃতিত্ব কাদের? পূর্ণিমা বলেন, অনেক মানুষেরই অবদান আছে। তবে প্রথম ছবিতে যারা আমাকে নিয়েছেন পরিচালক জাকির হোসেন রাজু ও প্রযোজক মতিউর রহমান পানুর অবদান সবচেয়ে বেশি। এছাড়া মায়ের খুব ইচ্ছা ও চেষ্টা ছিল। তার মেয়ে বড় কোনো শিল্পী হোক এটা তিনি চাইতেন। সেখান থেকেই অনুপ্রেরণা। এরপর প্রত্যেক পরিচালক, প্রযোজক, প্রোডাকশনের লোক, সাংবাদিক ভাইয়েরাসহ সবারই অবদান আছে। আর আমার ভক্তরাই আমাকে এই পর্যন্ত এগিয়ে নিয়ে এসেছেন। দিনশেষে ভক্তদের কারণেই টিকে আছি। সর্বোপরি মহান আল্লাহ তায়ালার হুকুম, রহমত ছিল। যেদিন ‘এ জীবন তোমার আমার’ মুক্তি পেয়েছিল সেদিনের বিশেষ কোনো স্মৃতি কি মনে পড়ে? পূর্ণিমা বলেন, আমার এ ছবির পাশাপাশি শহীদুল ইসলাম খোকন ভাইয়ের ‘ভণ্ড’ নামের একটা সিনেমা মুক্তি পেয়েছিল। দুটো সিনেমাতেই নতুন নায়িকা। তামান্না আর আমি। আমাদেরটা রোমান্টিক, তাদেরটা ছিল অ্যাকশন ছবি। আমার ছবি মধুমিতায় চলছিল। ‘ভণ্ড’ অভিসারে। মজার ব্যাপার হলো, ঐ দিন নিজের ছবি দেখতে না গিয়ে আগে ‘ভণ্ড’ দেখতে গিয়েছিলাম। ক্যারিয়ারে আপনার বড় প্রাপ্তি কোনটি বলে মনে করেন? পূর্ণিমা বলেন, এখন পর্যন্ত মানুষের মনে আছি এটাই বড় প্রাপ্তি। কোনো অপ্রাপ্তি আছে কি? উত্তরে পূর্ণিমা বলেন, ২৩ বছর ক্যারিয়ারের বয়স হয়ে গেছে। সে হিসেবে আরও ভালো কাজ দিতে পারতাম দর্শকদেরকে। কিছু ছবি আছে যেগুলোতে কাজ করে তৃপ্তি পাইনি। সেগুলোর নামও নিতে চাচ্ছি না। এটা একটা খারাপ লাগার জায়গা। ঐ সিনেমাগুলো কেন করেছিলেন? পূর্ণিমা বলেন, সেই সময়ে কিছু করার ছিল না। তখন সিনেমা না করলে হয়তো ইন্ডাস্ট্রি থেকে আউট হয়ে যেতাম। প্রতিযোগিতায় টিকে থাকার জন্য কাজ করে যেতে হয়েছিল। চলচ্চিত্রের বর্তমান অবস্থা কেমন দেখছেন? পূর্ণিমা বলেন, করোনার দুই বছর আমাদেরকে অনেক পিছিয়ে দিয়েছে। যদিও আগে থেকেই ইন্ডাস্ট্রির অবস্থা খারাপ ছিল। কিন্তু আশার ব্যাপার হচ্ছে, এখন ওটিটি প্লাটফর্মে খুব সাড়া মিলছে। যার কারণে ওয়েব ফিল্ম, ওয়েব সিরিজ তৈরি বাড়ছে। অনেকেই অনেক ধরণের অ্যাপস বের করছেন। এটা ইতিবাচক।
Posted ৪:৩৫ পূর্বাহ্ণ | রবিবার, ১৬ মে ২০২১
dailymatrivumi.com | Mohammad Salahuddin