দেশে করোনার সংক্রমণ বাড়ছেই ধারাবাহিকভাবে, মৃত্যুর সংখ্যাও নামছে না দুইশ’ এর নিচে। করোনা রোগীদের বাড়তি চাপ সামলাতে রীতিমতো হিমশিম খাচ্ছেন চিকিৎসক ও নার্সরা। প্রায় শুণ্যের কোটায় ঠেকেছে করোনা ডেডিকেটেড হাসপাতালের ফাঁকা বেডের সংখ্যা। চিকিৎসাধীন রোগীর মৃত্যুতে ফাঁকা হওয়া বেড পুরণ হতে সময় লাগছে না। উদ্ভূত পরিস্থিতিতে হাসপাতালের ভেতরে আর একটা বেডও ঢোকানোর জায়গা নেই। হাসপাতাল করতে খুঁজেও পাওয়া যাচ্ছে না ভবন। বেড না ঢোকানোর ও ভবন খুজে না পাওয়ার কথা বলেছেন খোদ স্বাস্থ্যমন্ত্রী।
রোববার সাংবাদিকদের ব্রিফিংকালে করোনার সার্বিক পরিস্থিতি জানান স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক।মহাখালীর বিসিপিএস মিলনায়তনে ২০২০-২১ শিক্ষাবর্ষের এমবিবিএস প্রথম বর্ষের ক্লাস উদ্বোধন শেষে সাংবাদিকদের ব্রিফ করেন।
সংক্রমণ পরিস্থিতি সম্পর্কে স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, উত্তরবঙ্গে কমলেও মধ্যাঞ্চলে স্থিতিশীল রয়েছে সংক্রমণের হার।আর বাড়ছে দক্ষিণাঞ্চলে। প্রতিদিন দুইশর মতো করোনা রোগী মারা যাচ্ছে।প্রায় ১০ হাজারের বেশি মানুষ করোনায় আক্রান্ত হচ্ছে। সরকার মৃত্যু ও সংক্রমণ কমানোর চেষ্টা চালাচ্ছে। কিন্তু স্বাস্থ্যবিধি না মানলে এটা কমবে না।
করোনার চিকিৎসা সেবা প্রসঙ্গে মন্ত্রী জাহিদ মালেক বলেন, সেবা দেয়ার আপ্রাণ চেষ্টা করা হচ্ছে। যতটুকু সম্ভব, বেড বাড়ানো হয়েছে। নতুন হাসপাতাল প্রসঙ্গে জানান, নতুন ভবন পাওয়া গেলেই হবে না, ডাক্তার, নার্স, যন্ত্রপাতিও থাকতে হবে।
বিধিনিষেধের মধ্যে শিল্প-কারখানা খুলে দেয়া প্রসঙ্গে জানান, কর্মরতরা গাদাগাদি করে এসেছেন, তিল ধারণের জায়গা ছিল না। এতে সংক্রমণ বৃদ্ধি পাবে। স্বীকার করি আর না করি- স্বাস্থ্যবিধি মানা হয়নি। তিনি বলেন, জীবন ও জীবিকা পরস্পরে পরিপূরক, দুটোই দরকার।সরকারকে সবদিকেই ব্যালেন্স করে চলতে হয়, কিন্তু সব সময় ব্যালেন্স রাখা যায় না। তিনি বলেন, সংক্রমণ যেন বৃদ্ধি না পায়, সেজন্য সবকিছু ভেবেই এগুতে হবে। সংক্রমণ বৃদ্ধি পেলে মৃত্যুর হার বাড়বে। তিনি জানান, করোনার সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে বিধিনিষেধ থাকতে হবে। বিধিনিষেধের মধ্যেই তা মেনে কাজ করতে হবে।
Posted ৬:৫১ পূর্বাহ্ণ | সোমবার, ০২ আগস্ট ২০২১
dailymatrivumi.com | Mohammad Salahuddin