এর আগে, বুধবার বিকেলে রাজধানীর শাজাহানপুরের গুলবাগ এলাকায় বান্ধবীকে ভিডিও কল দিয়ে গলায় ফাঁস লাগিয়ে আত্মহত্যা করেন নদী। তার গ্রামের বাড়ি বরগুনার বেতাগী উপজেলায়।
জানা গেছে, নদীর বাবা পুলিশের এএসআই রফিকুল ইসলাম। তিনি বর্তমানে বরিশালের আগৈলঝারা থানায় কর্মরত। রুবিনা শাজাহানপুর থানার মালিবাগ এলাকার ৩৯১ নম্বর গুলবাগের পঞ্চম তলার একটি ফ্ল্যাটে বান্ধবীকে নিয়ে সাবলেট থাকতেন।
নদীর রুমমেট মারিয়াম জানান, নদী আইন বিভাগে পড়াশোনা করতেন। ২০১৯ সালের সেপ্টেম্বরে একই বিভাগের সায়েম নামের এক শিক্ষার্থীকে প্রেম করে বিয়ে করেন তিনি। বিয়ের তিন মাসের মাথায় তাদের মধ্যে ডিভোর্স হয়ে যায়।
এদিকে নদীর খালাতো বোন শরিফা সুলতানা বলেন,ডিভোর্সের পরও সায়েম বিভিন্ন সময় নদীর বান্ধবী মারিয়ামের ফোনে তাদের ব্যক্তিগত ছবি ও ভিডিও পাঠাতেন। এসব নিয়ে মানসিকভাবে বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছিল নদী। এ কারণেই আত্মহত্যার ঘটনা ঘটে থাকতে পারে।
মারিয়ম বলেন, রুবিনা আজ কাজে যায়নি। আমি কাজে চলে যাই। বিকেল ৩টার দিকে ফোন করে সে জানায়, ‘আমার ভালো লাগছে না, তুই দ্রুত চলে আয়, আমি মরে যাব।’ এরপর ভিডিও কলে দেখি ও ফ্যানের সঙ্গে ওড়না বাঁধছে।
তিনি আরো বলেন, আমি দ্রুত বাসায় চলে এসে ভেতর থেকে দরজা বন্ধ পাই। ডাকাডাকি করে কোনো সাড়াশব্দ না পেয়ে আশপাশের লোকজনের সহযোগিতায় ছিটকিনি ভেঙে নদীকে ঝুলন্ত অবস্থায় উদ্ধার করি। এরপর ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের জরুরি বিভাগে নিলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।
এ ঘটনায় ডিএমপি সবুজবাগ জোনের এসি মনতোষ বিশ্বাস বলেন, যতটা জেনেছি, তিনি আত্মহত্যা করেছেন। প্রকৃতপক্ষে আত্মহত্যা না অন্যকিছু, তা তদন্তের পর বলা যাবে।
Posted ২:২৭ পূর্বাহ্ণ | বৃহস্পতিবার, ২৪ জুন ২০২১
dailymatrivumi.com | Mohammad Salahuddin