নিজস্ব প্রতিবেদক:
আবাসন খাতসহ অন্যান্য খাতে নির্মাণসামগ্রীর অন্যতম উপাদান হচ্ছে রড। বাজারে এক সপ্তাহ আগে প্রতি টন রডের দাম ছিল ৭৫ হাজার টাকা। সেই রডের দাম বেড়ে এখন ৮০ হাজার টাকা দাঁড়িয়েছে। পাঁচ মাস আগে প্রতি টন রড বিক্রয় হতো ৫৫ হাজার টাকা। ফলে এই সময়ে টনপ্রতি দাম বেড়েছে ২৫ হাজার টাকা বা সাড়ে ৩২ শতাংশ। রডের দাম অস্বাভাবিক বেড়ে যাওয়ায় সরকারের চলমান উন্নয়নকাজ ও বেসরকারি পর্যায়ে আবাসনশিল্প বড় ধরনের ঝুঁকির মুখে পড়ার আশঙ্কা করা হচ্ছে।
দফায় দফায় নির্মাণসামগ্রীর দামসহ সরবরাহ খরচ বাড়ায় পাবলিক প্রকিউরমেন্ট আইন অনুযায়ী দরপত্রের মূল্য সমন্বয়সহ দুই দফা দাবি জানিয়েছে বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন অব কনস্ট্রাকশন ইন্ডাস্ট্রি (বিএসিআই)। মঙ্গলবার রাজধানীর সেগুনবাগিচায় ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির সাগর-রুনি মিলনায়তনে বিএসিআই আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এ দাবি জানানো হয়।
পাশাপাশি বর্তমান বাজারদর অনুযায়ী সব সরকারি দরপত্রের রেট শিডিউল হালনাগাদ এবং প্রকল্পের কাজে ব্যবহৃত পানি ও বিদ্যুৎ সংক্রান্ত খরচ গণপূর্ত অধিদপ্তরের রেট শিডিউলে সন্নিবেশিত করার দাবিও জানায় তারা।
সংবাদ সম্মেলনে বিএসিআইয়ের সাবেক সভাপতি এস এম খোরশেদ আলম বলেন, মনে করুন, আমরা রডের প্রতি টন মূল্য ৫২ হাজার টাকায় একটি দরপত্রে অংশগ্রহণ করলাম, কিন্তু এক মাস পর সেই রডের টন ৮২ হাজার টাকা হলে আমাদের কাজ করা অসম্ভব হয়ে যাবে।
তিনি বলেন, সরকারের আমলারা মনে করেন যে তাঁরা নানাভাবে সরকারের সাশ্রয় করছেন। কিন্তু বাস্তবিক পরিস্থিতিতে সাশ্রয় তো হচ্ছেই না বরং আমরা ঠিকাদাররা কেউ কেউ দেউলিয়া হওয়ার পথে যাচ্ছি। সুতরাং সরকারের উন্নয়নমূলক কাজ সঠিক সময়ে কম খরচে বাস্তবায়নের জন্য আইন অনুযায়ী মূল্য সমন্বয় জরুরি।
বিএসিআইয়ের সাবেক সভাপতি শেখ মো. রফিকুল ইসলাম বলেন, সরকারের বিভিন্ন ভৌত অবকাঠামোসহ উন্নয়নমূলক কর্মকাণ্ডে সহায়ক হিসেবে কাজ করে বিএসিআইয়ের সদস্যরা। কিন্তু দুঃখের বিষয়, নির্মাণ প্রকল্পগুলোর মূল উপকরণ রড, সিমেন্ট, পাথর, লোহা, ইট প্রভৃতির বাজারদর বৃদ্ধি পাচ্ছে। পাশাপাশি নতুন করে ডিজেল ও কেরোসিনের দাম বৃদ্ধি পাওয়ায় আমাদের পণ্য সরবরাহের খরচ আরো বেড়ে যাবে।
তিনি বলেন, প্রতি টন রডের বর্তমান মূল্য ৭৮ থেকে ৮০ হাজার টাকায় পৌঁছেছে। অর্থাৎ গত এক বছরে টাকার অঙ্কে বৃদ্ধির হার প্রায় ৪৫ শতাংশ। এ অবস্থায় সরকারি নিয়ম অনুযায়ী দরপত্রে মূল্য সমন্বয় করা জরুরি।
তিনি আরো বলেন, বর্তমান প্রেক্ষাপটে আমরা চলমান প্রকল্পের কাজ চালিয়ে যেতে পারছি না এবং নতুন কোনো দরপত্রে অংশগ্রহণ করার সাহসও পাচ্ছি না। তাই চলমান কাজে মূল্য সমন্বয় না করলে সব নির্মাণকাজে স্থবিরতা দেখা দেবে এবং প্রকল্প বাস্তবায়ন অসম্ভব হয়ে পড়বে।
Posted ৫:০৮ পূর্বাহ্ণ | বুধবার, ১০ নভেম্বর ২০২১
dailymatrivumi.com | Mohammad Salahuddin