শুক্রবার বিকেল ৩টা ৩০ মিনিটে রাজধানীর স্কয়ার হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৭৪ বছর। মৃত্যুর সময় স্ত্রী, চার মেয়ে, এক ছেলেসহ অসংখ্য গুণগ্রাহী রেখে গেছেন তিনি।
তার একমাত্র ছেলে মুনতাকিম আশরাফ টিটু মৃত্যুর খবরটি নিশ্চিত করেছেন।
কুমিল্লা-৭ আসন থেকে পাঁচবার নির্বাচিত হয়েছেন অধ্যাপক মো. আলী আশরাফ। তিনি বর্তমানে ওই আসনের নির্বাচিত এমপি হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। কুমিল্লা উত্তর জেলা আওয়ামী লীগের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি ছিলেন বর্ষীয়ান এ নেতা।
চান্দিনার গল্লাই মুন্সিবাড়ির মরহুম মো. ইসমাইল হোসেন মুন্সির ছেলে মো. আলী আশরাফ। ১৯৬২ সালে কুমিল্লা ভিক্টোরিয়া কলেজে অধ্যয়নকালেই ছাত্রলীগে যোগদান করেন। ১৯৭০-এর পাকিস্তান সংসদ নির্বাচনে তিনি স্বতন্ত্র প্রার্থী হয়ে নির্বাচনে ‘মই’ প্রতীক নিয়ে অংশ নেন। ওই নির্বাচনে জয় না পেলেও ‘মাছ’ প্রতীক নিয়ে স্বতন্ত্র প্রার্থী হয়ে ১৯৭৩ সালের প্রথম বাংলাদেশ জাতীয় সংসদের সর্বকনিষ্ঠ সদস্য হিসেবে নির্বাচিত হন।
পরবর্তী সময়ে আওয়ামী লীগ যতগুলো নির্বাচনে অংশগ্রহণ করেছে তার প্রত্যেকটিতেই তিনি আওয়ামী লীগের মনোনীত প্রার্থী হয়ে নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন। তিনি ১৯৯৬, ২০০৮, ২০১৪ এবং ২০১৮ সালের একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে পঞ্চমবারের মতো বিজয় লাভ করেন। ২০০০ সালে সপ্তম জাতীয় সংসদের ডেপুটি স্পিকারের দায়িত্ব পালন করেন। মৃত্যুর মধ্য দিয়ে প্রায় ৬০ বছরের বর্ণাঢ্য রাজনৈতিক জীবনের ইতি টানেন।
পারিবারিক সূত্র জানায়, পিত্তথলিতে পাথর সংক্রান্ত সমস্যায় গত ২ জুলাই রাজধানীর স্কয়ার হাসপাতালে ভর্তি হন অধ্যাপক মো. আলী আশরাফ এমপি। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় শরীরে নানা রোগের উপসর্গ দেখা দেয়। সঙ্গে নিউমোনিয়া রোগেও আক্রান্ত হন। পরবর্তী সময়ে ৯ জুলাই তাকে নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে (আইসিইউ) স্থানান্তর করা হয়। সেখানে তার শারীরিক অবস্থার অবনতি ঘটলে ২১ জুলাই বিকেল ৩টায় লাইফ সাপোর্টে নেওয়া হয়।
Posted ১০:৩২ পূর্বাহ্ণ | শুক্রবার, ৩০ জুলাই ২০২১
dailymatrivumi.com | Mohammad Salahuddin