ইলিয়াস হক
১৫ আগস্ট কোন রাজনীতির দিন না। কোন নির্বাচনে প্রচারের দিন না। নিজেকে প্রচারের দিন না৷
সেল্ফি বা ছবি তোলার দিন না। তোরন ব্যানারে নিজের ছবি নেতা নেত্রীর ছবি দেওয়ার দিন না৷
সারা বছরইতো এগুলো করেন। বিরত হোন নাই। এই একটি দিন অন্তত আপনারা কেন এগুলো থেকে বিরত হতো পারেন নাই।
নির্মম এই দিনে আকাশ বাতাশ কেঁদেছ। এই দিনে একটি পরিবারের সবাইকে হত্যা করেছে৷ ইতিহাসের সবচাইতে নির্মম হত্যার দিনে কেন আপনারা এগুলো করবেন।
বঙ্গবন্ধুর ভাষন বাজানোর নামে মাঝে মাঝে বাজনা সহ গান বাজিয়েছেন। কাঙ্গালি ভোজের নামে ফুর্তি করে খাওয়া দাওয়া করেছেন।
বঙ্গবন্ধুর কবরে এসে ফুল দেওয়ার নামে হুড়াহুড়ি করে ছবি তোলার প্রতিযোগিতা করেছেন। কে কার আগে টিভির ক্যামেরায় যাবে সেই জন্য ঠেলাঠেলি করে হুড়াহুড়ি করেছেন।
আপনাদের কি আবেগ? কি চেতনা? আমার খুব কষ্ট হয় বুঝতে। আমি বুঝতে পারিনা কেন আপনারা বিরত হোন না। কেন আপনাদের বিরত করেন না।
আপনার মা বাবা ভাই বোনের যদি এভাবে মৃত্যু হতো তবে আপনি কি করতেন? স্বজন হারানোর ব্যাথা তারাই বুঝে যারা হারিয়েছেন। একবার চিন্তা করে দেখুন এই দিনে বেঁচে যাওয়া দুই বোন শেখ হাসিনা শেখ রেহানার কথা বেঁচে যাওয়া ভাই শেখ সেলিম শেখ মারুফের কথা। তাদের অন্তর সেদিন কি ভাবে কাঁদে। রাজনীতির নামে যদি হয় শোকের বদলে উল্লাস তবে আপনিও হত্যাকরীর দলে। আপনিও খালেদা জিয়ার দলে।
খালেদা জিয়া এই দিনে কেক কেটে আনন্দ উল্লাস করতো। হতে পারে আপনার জন্মদিন আপনিও যদি উল্লাস করেন আপনিও যদি আবেগে নিজের জন্ম দিনে গদ গদ হয়ে যান তবে আপনিও খুনিদের দলের লোক। তাদের রক্ত বহন করেন।
আমরা সকলে বঙ্গবন্ধুর সঠিক মর্যাদা দিতে শিখি। আমারা তার আদর্শ চেতনাকে মনে প্রানে ভালবাসি। বছরে সব কয়টি দিন আপনি যা করেন করেন অন্তত শোকের এই দিনে এই মাসে আপনি বিরত থাকুন আনন্দ উল্লাস করা থেকে।
এই দিনটি আমরা বিনম্র শ্রদ্ধায় নিহত সকল শহীদের প্রতি গভীর সন্মান অন্তর থেকে করি। শুধু ব্যানার লাগিয়ে নয়। ফেস্টুন করে নয়। ফেসবুকে ছবি পোস্ট করে নয়। হ্নদয় থেকে ভালবাসার বহিঃপ্রকাশ করি।
লেখক: ইলিয়াস হক, দপ্তর সম্পাদক, গোপালগঞ্জ জেলা আওয়ামী লীগ।
Posted ১:৫৯ অপরাহ্ণ | রবিবার, ১৬ আগস্ট ২০২০
dailymatrivumi.com | Mohammad Salahuddin