বন্দর উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় সোমবার হঠাৎ করেই তীব্র গ্যাস সংকট দেখা দিয়েছে। সকাল থেকে গ্যাস না থাকায় লকডাউনের মধ্যেই খাবারের দোকানগুলোতে মানুষের উপচেপড়া ভিড় দেখা গেছে।
সোমবার বিভিন্ন খাবারের দোকানে মানুষকে লাইন ধরে খাবার কিনতে দেখা যায়। তবে দুপুরের পর গ্যাস সরবরাহ স্বাভাবিক হয়।
রোববার রাত ২টা থেকে উপজেলার সোনাকান্দা, দড়ি সোনাকান্দা, বন্দর, নবীগঞ্জ, মাহমুদনগর, বেপারীপাড়া, ফরাজিকান্দা, কল্যান্দি, লক্ষণখোলা, দক্ষিণ লক্ষণখোলাসহ বিভিন্ন এলাকায় গ্যাস সংকট দেখা দেয়।
সোনাকান্দা এলাকার বাসিন্দা মেহেদী হাসান বলেন, রোববার রাত থেকেই গ্যাস ছিল না। অনেকেই ভিন্ন উপায়ে রান্না করেছে। নানা ভোগান্তি পার করে আবার অনেকেই ছুটছেন খাবারের দোকানগুলোতে। হঠাৎ করে কোনো নোটিশ ছাড়া এভাবে গ্যাস সংকটে মানুষ চরম ভোগান্তির শিকার হচ্ছেন।
মাহমুদনগর এলাকার হোটেল ব্যবসায়ী মাসুদ জানান, গতকাল সকাল থেকে পরোটা বানিয়ে বিক্রি করে কুলিয়ে উঠতে পারছি না। হালুয়া, ভাজি ও ডাল সকালেই শেষ। এখন শুধু ডিম আর পরোটা দিচ্ছি। তাও অর্ধশতাধিক মানুষ এখনও লাইনে আছেন। তিতাস গ্যাস ট্রান্সমিশন অ্যান্ড ডিস্ট্র্রিবিউশন কোম্পানি লিমিটেডের প্রকৌশলী মো. রফিকুজ্জামান জানান, বিস্টেম্ফারণের খবর পেয়ে রাতেই গ্যাস সরবরাহ বন্ধ করে দেওয়া হয়। এ নিয়ে তদন্ত চলছে। কোথাও সমস্যা রয়েছে কিনা তা খতিয়ে দেখে দুপুরের পর গ্যাস সরবরাহ আবার চালু করা হয়। তাছাড়া লকডাউনের আগে বন্দরের বিভিন্ন স্থানে অবৈধ গ্যাস সংযোগ বিচ্ছিন্ন করার কারণে কয়েকটি স্থানে লিকেজ দেখা দেয়। এসব কারণে গ্যাসের চাপ কমানো হয়েছে।
Posted ৮:১৭ পূর্বাহ্ণ | মঙ্গলবার, ০৬ জুলাই ২০২১
dailymatrivumi.com | Mohammad Salahuddin