গোপালগঞ্জে সরকারি শিশু কেন্দ্র ‘শিশুপরিবার’ এর এক শিক্ষার্থীর মৃত্যুকে ঘিরে ধোয়াশার সৃষ্টি হয়েছে। শিশুপরিবার কর্তৃপক্ষ এটিকে আত্মহত্যা বললেও ওই শিশুটির পরিবার এটিকে হত্যাকাণ্ড বলে অভিযোগ করেছে।
জানা গেছে, জেলা প্রশাসন ও পুলিশ প্রশাসন শিশুটির মৃত্যু রহস্য উদঘাটনে কাজ শুরু করেছে।
গোপালগঞ্জের পার্শ্ববর্তী নড়াইল জেলার নড়াগাতি থানার তেলকাড়া গ্রামের ইঞ্জিল খার ছেলে জোবায়ের রহমান (১২) নামে ওই শিশুটি গোপালগঞ্জ জেলা সদরে অবস্থিত শিশুপরিবারের ৪র্থ শ্রেণির ছাত্র ছিল।
মঙ্গলবার দুপুরে (২২ ডিসেম্বর) শিশুপরিবারের দোতালার বেলকুনিতে থাকা কাপড় শুকানোর বাঁশের সঙ্গে গামছা দিয়ে ফাঁস লাগানো অবস্থায় তাকে দেখতে পেয়ে কর্তৃপক্ষ সদর হাসপাতালে নিয়ে যায়। সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
শিশুপরিবারের উপ-তত্ত্বাবধায়ক মো. মোশারফ হোসেন বলেন, শিশুটি খেলতে খেলতে গামছা গলায় ফাঁস লাগতে পারে এবং এভাবে তার হয়তো মৃত্যু হয়েছে। শিশুটির সাথে প্রতিষ্ঠানের কোনো শিক্ষার্থীরও মনোমালিন্য ছিল বলে তার জানা নেই।
তিনি আরও বলেন, সাজেদুল ইসলাম নামে তার এক সহপাঠী প্রথমে ঝুলন্ত অবস্থায় দেখে আমাদের খবর দেয়। তারপর আমরা তাকে উদ্ধার করি এবং উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়।
ওই শিক্ষার্থীর খালু তারেক শেখ জানান, তার ভাগ্নেকে হত্যা করে মরদেহ ঝুলিয়ে রাখা হয়েছে। তিনি সঠিক তদন্তসাপেক্ষে দোষীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি করেছেন।
গোপালগঞ্জ সদর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. মনিরুল ইসলাম জানিয়েছেন, শিশুটির স্বজনরা মৌখিকভাবে অভিযোগ করেছেন যে শিশুটিকে হত্যা করা হয়েছে। আমরা পুলিশের পক্ষ থেকে লিখিত অভিযোগ দিতে বলেছি।
Posted ৩:৩৮ অপরাহ্ণ | মঙ্গলবার, ২২ ডিসেম্বর ২০২০
dailymatrivumi.com | Mohammad Salahuddin